HTML কুইজ
পৃথিবীর ভূখণ্ডকে প্রধানত সাতটি মহাদেশে বিভক্ত করা হয়েছে, যাদের প্রত্যেকটির নিজস্ব স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা দক্ষিণ আমেরিকা, ওশেনিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেশ, স্থান ও উপনাম সম্পর্কে আলোচনা করব।
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ: বৈচিত্র্যের এক বিশাল ভাণ্ডার
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ হলো পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মহাদেশ। এখানে অবস্থিত দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, বলিভিয়া, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, প্যারাগুয়ে, পেরু, সুরিনাম, উরুগুয়ে এবং ভেনিজুয়েলা। এই মহাদেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
- ভৌগোলিক অবস্থান: কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, চিলি, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, উরুগুয়ে ইত্যাদি দেশগুলো দক্ষিণ আমেরিকার অন্তর্গত।
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: মেক্সিকো যদিও উত্তর আমেরিকার একটি দেশ, এটিকে প্রায়শই ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবে দক্ষিণ আমেরিকার কাছাকাছি বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, আলবেনিয়া একটি ইউরোপীয় দেশ, যা দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে অবস্থিত।
ওশেনিয়া মহাদেশ: প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে এক রত্নভান্ডার
ওশেনিয়া পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ, যা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। এই মহাদেশের পূর্ব নাম ছিল অস্ট্রেলিয়া। এর মোট আয়তন ৮১ লক্ষ ১২ হাজার বর্গ কিমি। এটি বিশ্বের মোট আয়তনের প্রায় ৫.৮ শতাংশ। ওশেনিয়ায় ১৪টি স্বাধীন দেশ রয়েছে।
ওশেনিয়ার দেশসমূহ ও উল্লেখযোগ্য স্থান
- বৃহত্তম দেশ: আয়তন এবং জনসংখ্যা উভয় দিক থেকেই ওশেনিয়ার বৃহত্তম দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া। এর রাজধানী ক্যানবেরা।
- অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের অ্যাবোরজিন বলা হয়।
- এর জাতীয় পাখি হলো ক্যাঙ্গারু।
- এখানেই বিখ্যাত গ্রেট বেরিয়ার রীফ অবস্থিত, যা প্রশান্ত মহাসাগরের বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর।
- অস্ট্রেলিয়া শব্দের অর্থ ‘এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল’।
- ক্ষুদ্রতম দেশ: আয়তনে ক্ষুদ্রতম দেশ হলো নাউরু এবং জনসংখ্যায় ক্ষুদ্রতম দেশ হলো টুভ্যালু।
- অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ওশেনিয়ার বৃহত্তম সাগর হলো তাসমান সাগর এবং বৃহত্তম হ্রদ হলো লেক আয়ার।
- দীর্ঘতম নদী হলো মারে ডার্লিং।
- ওশেনিয়ার বৃহত্তম দ্বীপ হলো নিউ গিনি।
- নিউজিল্যান্ডের জাতীয় পাখি ও অধিবাসীদের ‘কিউই’ বলা হয়, আর এর আদিবাসীদের ‘মাউরি’ বলা হয়। নিউজিল্যান্ড হলো বিশ্বের প্রথম দেশ, যেখানে নারীরা ভোটাধিকার লাভ করে।
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ: বরফের চাদরে ঢাকা
অ্যান্টার্কটিকা হলো পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত একটি বরফাবৃত মহাদেশ, যা প্রায় ৯৮% বরফে আবৃত। একে প্রায়শই ‘বরফের মহাদেশ’ বলা হয়।
- গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
- এন্টার্কটিকা মহাদেশের সক্রিয় আগ্নেয়গিরির নাম মাউন্ট ইরেবাস।
- সর্বোচ্চ বিন্দু ভিন্সন ম্যাসিফ এবং সর্বনিম্ন বিন্দু বেন্টলে সাবগ্ল্যাসিয়াল ট্রেঞ্চ।
- এখানে প্রচুর পরিমাণে পেঙ্গুইন দেখা যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থান ও তাদের উপনাম
অনেক শহর ও স্থানের নিজস্ব ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক বা সাংস্কৃতিক কারণে বিশেষ কিছু উপনাম রয়েছে। যেমন:
- ইউরোপের ককপিট: বেলজিয়াম
- নিশীথ সূর্যের দেশ: নরওয়ে
- চির শান্তির শহর: রোম
- হাজার হ্রদের দেশ: ফিনল্যান্ড
- সূর্যোদয়ের দেশ: জাপান
- সাত পাহাড়ের দেশ: রোম
- চীনের দুঃখ: হোয়াংহো নদী
- বিশ্বের রাজধানী: নিউইয়র্ক
- ইউরোপের ক্রীড়াঙ্গন: সুইজারল্যান্ড
- সমুদ্রের বধু: গ্রেট ব্রিটেন
- অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ: আফ্রিকা
- বিশ্বের রুটির ঝুড়ি: উত্তর আমেরিকার প্রেইরি
- বাংলার ভেনিস: বরিশাল