মজার জিনিস Pangram- আপনি কি বাংলা ভাষার কোনো প্যানগ্রাম জানেন?

প্যানগ্রাম বলতে এমন একটি বাক্যকে বোঝায় যেখানে বর্ণমালার সবগুলো বর্ণ অন্তত একবার করে ব্যবহৃত হয়েছে। ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে এটি ২৬টি বর্ণ নিয়ে গঠিত হবে। প্যানগ্রামগুলি বিভিন্ন কাজে লাগে, যেমন:

  • কীবোর্ড বা ফন্ট পরীক্ষা করা: প্যানগ্রাম টাইপ করে দেখা যায় কীবোর্ডের সবগুলো বর্ণ ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা এবং ফন্টে সবগুলো বর্ণ সঠিকভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে কিনা।
  • মজা করা বা ভাষা অনুশীলন করা: প্যানগ্রাম লিখা বা পড়া মজার একটি কাজ হতে পারে এবং একইসাথে ভাষা অনুশীলনেরও ভালো উপায়।
  • কবিতা বা গদ্য লেখার অনুপ্রেরণা: প্যানগ্রামগুলি লেখকদের নতুন চ্যালেঞ্জ এবং অনুপ্রেরণা দিতে পারে।

নীচের বাক্যগুলো লিখুন একবার করে (অবশ্যই না দেখে এবং নির্ভুল ভাবে) লেখা শেষ হলে কমেন্ট করে জানান।

সবচেয়ে নির্ভুল ভাবে এবং সবচেয়ে কম সময়ে যিনি লিখে শেষ করতে পারবেন তার জন্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় পুরস্কার। (প্রতি মাসে)

The quick brown fox jumps over the lazy dog near the river bank.

The quick brown fox jumps over a lazy dog.

Jackdaws love my big sphinx of quartz.

Mr. Jock, TV quiz PhD, bags few lynx.

Pack my box with five dozen liquor jugs.

Sphinx of black quartz, judge my vow.

The five boxing wizards jump quickly.

Jinxed wizards pluck ivy from the big quilt.

A quivering Texas zombie fought republic linked jewelry.

Mr. Hogan’s box, quick, jolly werewolf dance grip fox.

The public was amazed to view the quickness and dexterity of the juggler.

Buzzing beehives quickly drove the dog and fox into the nearby woods.

Victor Jack, a quirky, perplexed swimmer, dove into the fizzy, gelid waves.

Foxes quickly jump and zigzag through the labyrinthine garden.

Jim’s quirky puzzle, which featured a jumbled mix of diverse objects, fascinated every visitor.

A brown bag held five juicy lemons, which Jack quickly squeezed for zesty juice.

The wacky jester juggled six fuzzy kiwis and a big, plump quail.

My crazy black cat, Jazz, quickly devoured a dozen expensive goldfish.

Every wizard quickly learned how to mix potent potions in the cozy laboratory.

Quick, blow the jazzy saxophone for five dizzy judges watching from the balcony.

The plucky detective quickly solved the mysterious whodunit, impressing everyone.

A vexed judge swiftly penned a quirky poem for the public’s amusement.

Mr. Lynch, a jovial jazz musician, played his saxophone for the queen’s birthday.

Buzzing mosquitoes quickly annoy the whole family during the summer picnic.

Pack my box with six dozen liquor jugs; this will be quite the party!

Quirky behavior often leads to mixed reactions from the public.

Jim quickly realized his mistake and apologized to the vexed queen.

A fox swiftly darts through the maze, leaving the puzzled dog behind.

Five dozen quartz crystals glistened in the bright sunlight.

The quick brown fox easily outran the lazy dog.

The judge’s verdict was unexpected, leaving everyone puzzled.

Victor quickly zapped the jumbo-sized box with his quirky invention.

Jazz music echoed through the quiet valley, captivating all who heard it.

The whiz kid quickly solved the complex puzzle, earning admiration from all.

Mix a dozen juicy lemons with fizzy soda for a refreshing drink.

The pack of wolves quickly devoured the unlucky rabbit.

Buzzing bees pollinate flowers, ensuring a bountiful harvest.

The vexed queen banished the jester from the kingdom for his impudence.

Jack quickly zoomed his motorbike down the zigzagging road.

Mr. Lynch, the jazz aficionado, collected rare vinyl records.

The quirky inventor built a robot with astonishing dexterity.

Pack my box with five dozen liquor jugs; it’s time to celebrate!

The quick brown fox evaded capture yet again.

Jazz enthusiasts gathered to celebrate the music festival.

Victor’s quirky behavior often amused his friends.

Mix six dozen juicy lemons with fizzy water for a tangy treat.

The jester’s antics never failed to entertain the crowd.

The whiz kid quickly aced the challenging exam.

The lazy dog lounged lazily in the warm sunshine.

The judge’s gavel struck with a resounding thud.

Jazz melodies filled the air, enchanting listeners.

Victor’s bizarre invention left everyone speechless.

The fox’s sly grin betrayed its mischief.

Pack my box with five dozen liquor jugs; the party’s about to begin!

The quirky scientist conducted experiments late into the night.

Jazz clubs buzzed with excitement as musicians performed.

The whiz kid’s intelligence was truly remarkable.

The jester’s jokes never failed to elicit laughter.

Victor’s eccentricities made him stand out from the crowd.

Mix a dozen juicy lemons with fizzy soda for a delicious beverage.

The judge’s decision was met with mixed reactions.

The lazy dog snoozed lazily in the shade of the tree.

Jazz music flowed from the speakers, filling the room.

The whiz kid’s brilliance was evident from a young age.

The jester’s costume was colorful and flamboyant.

Victor’s unorthodox methods often yielded surprising results.

Mix six dozen juicy lemons with fizzy water for a refreshing drink.

The judge’s ruling was fair and impartial.

The lazy dog stretched lazily before curling up for a nap.

Jazz enthusiasts gathered to enjoy the live performance.

The whiz kid’s inventions revolutionized the industry.

The jester’s wit was as sharp as his juggling skills.

Victor’s eccentric personality made him a memorable character.

Mix a dozen juicy lemons with fizzy soda for a tangy kick.

The judge’s decision was based on sound reasoning.

The lazy dog yawned lazily before settling down for the night.

Jazz musicians improvised on stage, creating magical moments.

The whiz kid’s intellect surpassed that of his peers.

The jester’s antics brought joy to all who watched.

Victor’s unconventional ideas challenged conventional thinking.

Mix six dozen juicy lemons with fizzy water for a refreshing twist.

The judge’s demeanor was stern but fair.

The lazy dog basked lazily in the warmth of the sun.

Jazz melodies filled the air, transporting listeners to another world.

The whiz kid’s achievements were nothing short of extraordinary.

The jester’s pranks kept everyone on their toes.

Victor’s creativity knew no bounds.

Mix a dozen juicy lemons with fizzy soda for a zesty burst of flavor.

The judge’s wisdom was respected by all.

The lazy dog lolled lazily on the grassy hillside.

Jazz aficionados flocked to the annual festival.

The whiz kid’s brilliance shone brightly in everything he did.

The jester’s jokes never failed to amuse.

Victor’s ingenuity was matched only by his determination.

Mix six dozen juicy lemons with fizzy water for a tantalizing treat.

The judge’s integrity was beyond reproach.

The lazy dog lazed lazily by the fire.

Jazz enthusiasts reveled in the lively atmosphere.

The whiz kid’s talents were recognized far and wide.

The jester’s humor brought smiles to faces young and old.

Victor’s vision would change the world forever.

বাংলা ভাষায় প্যানগ্রাম তৈরির প্রচেষ্টা সীমিত মনোযোগ পেয়েছে। প্রথম পরিচিত প্রয়াসটি 1993 সালের দিকে, ভারতীয় ভাষাবিদ মনোজকুমার ডি কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘প্রসাং বাংলাভাষা’ বইতে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ গিরিশের লেখা ‘বাংলা ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ণমালা’ নিবন্ধে পাওয়া যেতে পারে। বেশ প্রচলিত একটা উদাহরনঃ

বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত ঈশপের নিখুঁত গল্পটির অর্ধেক বলতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা দারুণ হৈ-হৈ করে উঠল—ওঃ, ব্যাস্ এবার থামো বুঝেছি বড্ডো পুরানো ঢঙের কেমন এক গল্প যার নীতি বাক্য হল--"মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি"—তাই না, এ্যাঁ?

ইন্টারনেট থেকে পাওয়া ব্লগার ইশতিয়াক জিকোর তৈরি একটি বাংলা প্যানগ্রাম যেখানে বাংলা ৫০টি বর্ণই বিদ্যমান—

বর্ষামুখর দিন শেষে, ঊর্দ্ধপানে চেয়ে যখন আষাঢ়ে গল্প শোনাতে বসে ওসমান ভুঁইঞা, ঈষান কোণে তখন অন্ধকার মেঘের আড়ম্বর, সবুজে ঋদ্ধ বনভূমির নির্জনতা চিরে থেকে থেকে ঐরাবতের ডাক, মাটির উপর শুকনো পাতা ঝরে পড়ে ঔদাসীন্যে, এবং তারই ফাঁকে জমে থাকা ঢের পুরোনো গভীর দুঃখ হঠাৎ যেন বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে ধূসর জীবনে রঙধনু এনে দেয়।

আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সংগৃহীত ও কিছুটা সংস্কারকৃত আরেকটি প্যানগ্রাম যা মূলত সাধুভাষায় রচিত—

মহারাজ ঊষাকালে বৃহৎ ঐরাবতে রাজপথের অর্ধেক প্রদক্ষিণ করতঃ হঠাত্‍ উক্তি করিলেন, “এই ঢোল‌ পাখোয়াজ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঝংকার ও সৌরভ মন্দ্রিত আড়ম্বরপূর্ন রঙিন জীবনের ছত্রতলে যে বিষণ্ণ দারিদ্র তাহা কি ঈষৎ ঔদাসীন্য, অপ্রচলিত বৈদেশিক নীতি নাকি বারভুঁইঞার সহিত পুরাণো এবং আত্মঘাতী ডামাডোলের ফসল?”

মূল অনুচ্ছেদে ঢ়,ড,ঝ ইত্যাদি বর্ণ অনুপস্থিত থাকায় তা একটি লিপোগ্রাম ছিলো।

৩৯টি বর্ণের একটি বাক্যে সবগুলো স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে /-কার/চিহ্ন-সহ অনুস্বর, বিসর্গ ও চন্দ্রবিন্দুর প্রয়োগ দেখিয়ে শাহিদুল একটি বাক্য রচনা করেছেন।

বাক্যটি ‘শুবাচ লিটল ম্যাগ’ প্রথম সংখ্যায় (পৃষ্ঠা: ২৮) প্রকাশিত হয়েছে। বাক্যটি হলো :

ঊনিশে কার্তিক রাত্র সাড়ে আট ঘটিকায় ভৈরবনিবাসী ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণগ্রস্ত অভাবী দুঃস্থ পৌঢ় কৃষক এজাজ মিঞা হাতের কাছে ঔষধ থাকিতেও ঐ ঋণের ডরেই চোখে ঝাপসা দেখিয়া বুকের যন্ত্রণায় ঈষৎ কাঁপিয়া উঠিয়া উঠানে বিছানো ধূসর রঙের ফরাশের উপর ঢলিয়া পড়িলেন।

প্যানগ্রামিস্ট মনোরঞ্জন রায়, তিনি সাহিত্যে প্রথম প্যানগ্রাম সনেট প্রবর্তন করেন।

তাঁর প্রকাশিত “সার্বিক নদীকথা” গাণিতিক ধারার কাব্য থেকে সংগৃহীত একটি প্যানগ্রাম সনেট “শব্দাবলি”।

তাঁর এসব সনেট বাংলা বর্ণমালার ৫০ টি বর্ণই অন্তত একবার করে ব্যবহার করে রচিত। তাই তাঁর এসব সনেট প্যানগ্রাম সনেট নামে পরিচিত।

শব্দাবলি

জীবনের সূত্র খুঁজে পথের পথিক

গণিতের অঙ্কে অঙ্কে পাতায় পাতায়।

অতীতের এক ছিন্ন কাগজের গায়

লিখে রাখে শব্দাবলি বিষন্ন অধিক।

ঘরপোড়া শোকগর্ভে নিজেকে ডুবায়

পঠিত সংশয়। যত কল্পনা অলীক

অনাগত হৃদয়ের কুঞ্জে সহসায়

পায় বিপর্যস্ত পথ, নিরাশার দিক।


রূঢ় বঞ্চনার তটে ওজস্বী উচ্ছ্বাস

ঝরে দুঃখ ঔদাসীন্য ঊষর জীবনে,

উড়ে অফুরান স্বপ্ন আদিম বিশ্বাস।

ছুঁয়ে যায় চেনা সুখ ইচ্ছের মননে

রাঙে ঋতুর ঐশ্বর্য একাগ্র প্রয়াস

ঈপ্সিত উৎসাহ ঢেউ অমোঘ বন্ধনে।

শ্যামল চন্দ্র দাসের লেখা একটি প্যানগ্রাম কবিতা। 

মূল কবিতাটিতে  বর্ণটি অনুপস্থিত ছিলো কিন্তু পরবর্তীতে সাকিব নূর আশরাফ সেখানে  বর্ণটি যুক্ত করেন।

হৃদয়ের চঞ্চলতা বন্ধে ব্রতী হলে

জীবন পরিপূর্ণ হবে নানা রঙের ফুলে।
কুজ্ঝটিকা প্রভঞ্জন শঙ্কার কারণ
লণ্ডভণ্ড করে যায় ধরার অঙ্গন।
ক্ষিপ্ত হলে সাঙ্গ হবে বিজ্ঞজনে বলে
শান্ত হলে এ ব্রহ্মাণ্ডে বাঞ্ছিতফল মেলে।
আষাঢ়ে ঈশান কোনে হঠাৎ ঝড় উঠে
গগন মেঘেতে ঢাকে বৃষ্টি নামে মাঠে
ঊষার আকাশে নামে সন্ধ্যার ছায়া
ঐ দেখো থেমে গেছে পারাপারে খেয়া।
শরৎ ঋতুতে চাঁদ আলোয় অংশুমান
সুখ দুঃখ পাশাপাশি সহ অবস্থান।
যে জলেতে ঈশ্বর তৃষ্ণা মেটায়
সেই জলেতে জীবকুলে বিনাশ ঘটায়।
রোগ যদি দেহ ছেড়ে মনে গিয়ে ধরে
ঔষধের সাধ্য কী বা তারে সুস্থ করে?

শাহিদুল হকের লেখা একটি শুক্তি ছড়াও রয়েছে-

ঘূর্ণিঝড়ে ঊষা বক্ষে ঈগল অনুঃ ছায়া ঐ

প্রৌঢ় ঋভু মঞ্চে উঠে ঔদার্য খোঁজে ওই।

ডিঙা ঢং তফাৎ আশা

এ ধারটা থেকে হাসা।

বলন কাইজি রচিত ও প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত আরেকটি শুক্তিছড়া –

দীর্ঘপথ ঢাকা ঔর্ণে

শেষে উঠে যাচ্ঞা ফড়িঙে ঊর্ধ্বরেতাঃ ওঁৎ ঋভু মাঝখানে

এই অডং জটলা ছঈ সহায় আগঢ় ঐ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top