সরকারি কম্পিউটার কোর্স (সরকার অনুমোদিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র)

চাকরির বাজার কিংবা দৈনন্দিন জীবন, সবখানেই কম্পিউটার এখন একটি অপরিহার্য দক্ষতা। আর এই দক্ষতার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি হিসেবে একটি সরকারি সার্টিফিকেট আপনার ক্যারিয়ারকে দিতে পারে নতুন মাত্রা। আপনি যদি ২০২৫-২৬ সেশনে একটি মানসম্মত “সরকারি কম্পিউটার কোর্স” করার কথা ভেবে থাকেন, তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আমরা এখানে আলোচনা করবো কেন একটি সরকারি কম্পিউটার কোর্স গুরুত্বপূর্ণ, ঢাকার সেরা কোর্স কোনটি, এবং কিভাবে কম্পিউটার সলিউশন আপনাকে এই যাত্রায় সেরা সহযোগী হতে পারে।

কেন সরকারি কম্পিউটার কোর্স করবেন?

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে টিকে থাকতে হলে কম্পিউটারের সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার প্রমাণ। এখানেই একটি সরকারি সার্টিফিকেটের গুরুত্ব।

  • চাকরির নিশ্চয়তা: যেকোনো সরকারি, বেসরকারি চাকরি, পুলিশ, প্রশাসনিক নিয়োগ, কিংবা ব্যাংক জবের ক্ষেত্রে কম্পিউটার দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে সরকারি সার্টিফিকেটকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হয়।
  • গ্রহণযোগ্যতা: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সার্টিফিকেট হওয়ায় এর গ্রহণযোগ্যতা দেশব্যাপী।
  • দক্ষতার সঠিক মূল্যায়ন: এটি প্রমাণ করে যে আপনি নির্দিষ্ট মডিউল অনুযায়ী পড়াশোনা করে কম্পিউটার ব্যবহারে যথেষ্ট দক্ষ।

কম্পিউটার সলিউশন ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান (প্রতিষ্ঠান কোড: ৫০৪৪৮) হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি গত ১৫-১৬ বছরে ৬০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থীকে সফলভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অফিশিয়াল সাইটে প্রতিষ্ঠানটির সিরিয়াল নাম্বার ২০৫১ এবং এর অনুমোদিত ট্রেডগুলো (কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও গ্রাফিক ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া) সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।

কম্পিউটার সলিউশনের ৬ মাস মেয়াদী কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্স: একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান

কম্পিউটার সলিউশন এন্ড ট্রেনিং সেন্টার তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী একটি যুগোপযোগী কোর্স ডিজাইন করেছে। এটি “৬ মাস মেয়াদী কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্স” নামে পরিচিত এবং সরকারি সার্টিফিকেটের জন্য বিশেষভাবে তৈরি।

এই কোর্সটি কাদের জন্য?

এই কোর্সটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন যেকোনো স্তরের শিক্ষার্থী এতে অংশ নিতে পারেন।

  • যারা আগে কম্পিউটার শিখলেও এখন অনেক কিছু ভুলে গেছেন।
  • যারা কি-বোর্ড না দেখে দ্রুত টাইপ করতে পারেন না।
  • যারা একদম নতুন, আগে কখনো কম্পিউটার শেখেননি।
  • যারা কম্পিউটারের বেসিক কাজ পারলেও অ্যাডভান্সড লেভেলের কাজ পারেন না।
  • কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষ কিন্তু চাকরির জন্য কোনো সরকারি সার্টিফিকেট নেই।
  • যারা বেসিক কাজগুলোতে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে চান।

৩ মাস আর ৬ মাস কম্পিউটার কোর্সের পার্থক্য কি?

শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সাধারণ প্রশ্ন হলো ৩ মাস এবং ৬ মাস মেয়াদী কোর্সের মধ্যে পার্থক্য কী। কম্পিউটার সলিউশনে এই বিষয়টি অত্যন্ত স্বচ্ছ। আমাদের “কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন” কোর্সটির সার্টিফিকেশনটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুযায়ী ছয় মাস মেয়াদী। তবে এর মানে এই নয় যে আপনাকে ছয় মাস ধরেই ক্লাস করতে হবে।

এটি একটি স্বল্প মেয়াদী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স। আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন ক্লাস হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা ১ থেকে ২ মাসের মধ্যেই পুরো কোর্সটি শেষ করতে পারে। আমরা মাস বা দিনের হিসাবে কোর্স করাই না, বরং প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত কোর্স মডিউল শেষ হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেই। আপনার নামে ছবিসহ একটি মডিউল থাকবে, যেখানে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ক্লাসের সমস্ত বিবরণ এবং আপনার অগ্রগতি রেকর্ড করা থাকবে। তাই কোর্স অসম্পূর্ণ থাকার কোনো সুযোগই নেই।

কম্পিউটার কোর্স করতে কত টাকা লাগে?

কম্পিউটার সলিউশন সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করে। বর্তমানে “অফিসিয়াল কম্পিউটার কোর্স”-এ চলছে ২০% ডিসকাউন্ট।

  • কোর্স ফি: ৫০০০ টাকা।
  • ডিসকাউন্ট পরবর্তী ফি: ৪০০০ টাকা (সরকারি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন সহ)।

এই ফির মধ্যেই আপনি পাচ্ছেন ৬ মাসের অনলাইন সার্টিফিকেশন, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, টাইপিং এবং বেসিক ডিজাইনিংসহ একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ।

কোর্সের মডিউলে কী কী থাকছে?

আমাদের কোর্স মডিউলটি অফিশিয়াল কাজের সমস্ত চাহিদা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কী কী শিখবেন এই কোর্সে।

১. কম্পিউটার ফান্ডামেন্টালস:

  • কম্পিউটার চালু (Start), বন্ধ (Shut down), রিস্টার্ট (Restart) করা।
  • অপারেটিং সিস্টেমের পরিচিতি, ফাইল ও ফোল্ডার ম্যানেজমেন্ট (কপি, ডিলিট)।
  • কীবোর্ড, মাউস, পেন ড্রাইভ ও SSD-এর সঠিক ব্যবহার।

২. বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং:

  • আমাদের বিশেষ পেইড সফটওয়্যার ব্যবহার করে ১০-১৫ দিনের মধ্যেই না দেখে টাইপ করার দক্ষতা অর্জন। চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ২০ শব্দের টাইপিং স্পিড আপনি এই কোর্সের মাধ্যমেই অর্জন করতে পারবেন। যাদের কম্পিউটার নেই, তারাও স্মার্টফোনের মাধ্যমে টাইপিং শিখতে পারবেন।

৩. মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word):

  • বেসিক: ইন্টারফেস পরিচিতি, ফাইল তৈরি, সেভ, ওপেন, টেক্সট ফরম্যাটিং (Bold, Italic, Underline), বুলেট, নাম্বারিং, বর্ডার ও শেডিং।
  • অ্যাডভান্সড: টেবিল তৈরি ও ফরম্যাটিং, ছবি, শেপ, SmartArt, চার্ট যুক্ত করা, পেজ মার্জিন, হেডার, ফুটার, পেজ নম্বর এবং ওয়াটারমার্ক ব্যবহার।
  • প্র্যাকটিক্যাল: সিভি, বায়োডাটা, প্রশ্নপত্র এবং অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে প্রিন্ট করা।

৪. মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel):

  • বেসিক: ইন্টারফেস পরিচিতি, সেল, রো, কলাম, বেসিক ক্যালকুলেশন (AutoSum) এবং ডেটা এন্ট্রি।
  • অ্যাডভান্সড ফাংশন: SUM, AVERAGE, MIN, MAX, COUNT, IF statement, সেল রেফারেন্স (Relative, Absolute)।
  • প্রজেক্ট-ভিত্তিক কাজ: স্যালারি শিট (Salary Sheet), রেজাল্ট শিট, বিদ্যুৎ বিল তৈরি, Conditional Formatting, ডেটা সর্টিং ও ফিল্টারিং। এছাড়াও V-Lookup, Pivot Table, এবং অন্যান্য অ্যাডভান্সড ফাংশন যা আপনাকে চাকরির বাজারে এগিয়ে রাখবে।

৫. মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট (Microsoft PowerPoint):

  • বেসিক: নতুন প্রেজেন্টেশন তৈরি, স্লাইড যোগ করা, ডিলিট করা, টেক্সট বক্স এবং বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার।
  • ডিজাইন: স্লাইড ডিজাইন, ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন, ট্রানজিশন ও অ্যানিমেশন যুক্ত করা, ছবি ও স্মার্ট আর্ট ব্যবহার করে তথ্য উপস্থাপন।
  • প্রেজেন্টেশন: স্লাইড শো পরিচালনা, টাইম সেটিং এবং প্রিন্টিং।

৬. ইন্টারনেট ও ইমেইল:

  • ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার, ইমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি, ইমেইল পাঠানো, ফাইল অ্যাটাচমেন্ট, ফাইল ডাউনলোড ও আপলোড।
  • গুগল ড্রাইভের (ডক, শিট, স্লাইড, ফর্ম) কার্যকরী ব্যবহার।

৭. বেসিক ডিজাইন ও এআই টুলস:

  • নিজের সিভি, ভিজিটিং কার্ড, ফেসবুক পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি ডিজাইন করা।
  • এআই (AI) টুলস (যেমন: ChatGPT, Gemini) ব্যবহার করে ইংরেজিতে ইমেইল, অ্যাসাইনমেন্ট বা আর্টিকেল লেখা।

কম্পিউটার সলিউশন কেন সেরা সরকার অনুমোদিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র?

  • অনলাইন ভেরিফিকেশন: কোর্স শেষে আপনি যে সার্টিফিকেট পাবেন, তা অনলাইনে ভেরিফাই করার সুযোগ রয়েছে। যে কেউ আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে cstcbd.com/results ওয়েবসাইটে আপনার ফলাফল, সেশন এবং টাইপিং স্পিড যাচাই করতে পারবে।
  • অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক: আমাদের রয়েছে ৭-৮ বছরের অভিজ্ঞ মহিলা শিক্ষক, যা নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করে। প্রশিক্ষকরা আপনাকে প্রতিটি বিষয় পুরোপুরি না শেখা পর্যন্ত সাপোর্ট দেবেন।
  • প্র্যাকটিক্যাল লার্নিং: প্রতিটি বিষয়ের উপর আলাদা লেকচার শিট দেওয়া হয় যা ক্লাসেই অনুশীলন করা যায়। ডকুমেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে প্রিন্টারে প্রিন্ট করা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ হাতে-কলমে শেখানো হয়।
  • শক্তিশালী রিভিউ: গুগলে আমাদের ১০০০ এরও বেশি 5-স্টার রিভিউ রয়েছে, যা আমাদের প্রশিক্ষণের মানের পরিচায়ক।
  • সুবিধাজনক লোকেশন: আমাদের ঠিকানা ফার্মগেটের প্রাণকেন্দ্রে – ১৯ ইন্দিরা রোড, মানষী প্লাজা (২য় তলা), তেজগাঁও কলেজের পাশে, যা ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাজনক।

শেষ কথা

শুধু একটি সার্টিফিকেট অর্জনই আমাদের মূল লক্ষ্য নয়, আপনাকে কম্পিউটার ব্যবহারে সত্যিকারের দক্ষ করে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য। কম্পিউটার সলিউশনের

সরকারি কম্পিউটার কোর্স -এ ভর্তি হয়ে আপনি আপনার দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস দুটোই বাড়াতে পারবেন। সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করার সুযোগ থাকায় আপনার সুবিধামতো সময়ে কোর্সটি শেষ করতে পারবেন।

আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে প্রথম ধাপ নিতে আজই যোগাযোগ করুন।

আমাদের ঠিকানা: কম্পিউটার সলিউশন, ১৯ ইন্দিরা রোড, মানষী প্লাজা (তোফাজ্জল বুক হাউজের ২য় তলায়), তেজগাঁও কলেজের পাশের বিল্ডিং, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: বিস্তারিত জানতে বা ভর্তি হতে কল করুন: 01977957783 (WhatsApp available)।

3 thoughts on “সরকারি কম্পিউটার কোর্স (সরকার অনুমোদিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র)”

Leave a Reply to Alamgir Cancel Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top